সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:সিলেট থেকে ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হলেন প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। ১ম সদস্যের নাম মোঃ আব্দুর রহিম(৪১), পিতা- মোঃ আবু হানিফ, জন্ম তারিখ- ০১ অক্টোবর ১৯৭৯, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১৯৫০৬০৭৩৪৯, বর্তমান সাং- ৪৮/ নয়াসড়ক, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- সিলেট। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- সোহাগদল, ডাকঘর- আলকিরহাট, থানা- নেছারাবাদ/পিরোজপুর সদর, জেলা- পিরোজপুর। ২য় সদস্যের নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন(৩৩), পিতা- মোঃ শহিদুল ইসলাম, জন্ম তারিখ- ০৩ এপ্রিল ১৯৮৭, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫১০০৭৯০২২৮, বর্তমান সাং- ৪৮/ নয়াসড়ক, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- সিলেট, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- সোহাগদল, ডাকঘর- আলকিরহাট, থানা- নেছারাবাদ/পিরোজপুর সদর, জেলা- পিরোজপুর। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। যার মামলা নং- ৩২/৫৫৬, তাারিখ- ১২/১২/২০২ইং, ধারা ৪০৬/৪২০, পেনাল কোড- ১৮৬০।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে ব্যাংক/এনজিও সংস্থা এবং বিভিন্ন কোম্পানীসহ সকলে অনুরোধ করেছেন যে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইমিগ্রেশন শাখায় তাদেরকে দেশ পলায়ন থেকে আটকানোর জন্য। তাছাড়া এই প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে ধরিয়ে দিলে নগদ ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেয়ার ঘোষণা করেছেন মেসার্স শাহজালাল ট্রেডার্স।
সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্র যাদের টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা হলো শাহজালাল ট্রেডার্স-এর ৩০ লক্ষ টাকা, মেসার্স মা-কোম্পানী ১ কোটি ১০ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা, ব্রাক ব্যাংকের ২৬ লক্ষ টাকা, মেসার্স সোনালী ষ্টোর-এর ৪৪ লক্ষ টাকা, মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ-এর ১৫ লক্ষ টাকা, অমৃত ফুড প্রোডাক্টস-এর ৩৫ লক্ষ টাকা, মেসার্স আল-আমিন এন্ড ব্রাদার্স-এর ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা, মেসার্স শাকিরা এন্টারপ্রাইজ-এর ১৫ লক্ষ, মেসার্স আহাদ ষ্টোর-এর ২৫ লক্ষ টাকা, মেসার্স রহমত ষ্টোরের ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আরো অনেক তথ্য গোপন রয়েছে। এই প্রতারক চক্রের আরো কি কি অপকর্মের আলামত রয়েছে।
তারা মানুষের কাছ থেকে ভুয়া জায়গায় দলিল রেখে ভুয়া চেক রেখে ও মানুষকে পরিবারসহ বিদেশ পাঠাবে বলে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধরণের লোভ লালসা দেখিয়ে টাকাগুলো নিয়ে যায়।